১।বিনা মুল্যের পাঠ্য পুস্তকঃ
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত কাজ বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা প্রদান উপজেলা পর্যায়ে গ্রহণ, সংরক্ষণ, বিতরণ এবং ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষার্থীর হাতে পৌছে দেয়ার কাজটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ করে থাকে ।
২।শিক্ষানীতি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নঃ
মাননীয় মন্ত্রী আপনিই বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী যিনি ২০১০ সালে একটি পুর্ণাংগ শিক্ষানীতি জাতিকে উপহার দিয়েছেন । এই শিক্ষানীতি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
৩। সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণঃ
আগামী প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ , জাতীয় ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতি বছর “সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণ “ কার্যক্রম করে থাকে । উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে ।
৪। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহঃ
শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক , মানবিক , দেশাত্ববোধ , জাতীয়তাবোধ এবং চরিত্রে সুনাগরিকের গুণাবলী বিকাশ ঘটানোর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিবছর “ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ “ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়ে থাকে । উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে ।
৫।শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নঃ
শিক্ষার্থীদের সুস্থ শরীরের গুরুত্ব , নয়মানুবর্তিতা , শৃংখলাবোধ সৃষ্টি লক্ষ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিবছর শীতকালীন ও গ্রীস্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে । উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে থাকে ।এ ছাড়া সারা বছর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম চর্চার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে ।
৬। মাল্টিমিডিয়া কার্যক্রম বাস্তবায়নঃ
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রেণি কার্যক্রমকে শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণিয় ও ফলপ্রসু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাল্টিমিডিয়া ক্লাস স্থাপনের নির্দেশনা দিয়েছে । স্থায়ী মাল্টিমিডিয়া ক্লাস স্থাপন , ক্লাস রুটিনে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস সংযোজন , মাল্টমিডিয়া ক্লাস গ্রহণ এবং ড্যাস বোর্ডে এন্টি নিশ্চিত করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।
৭। শিক্ষক প্রশিক্ষণঃ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিনে শিক্ষকদের যত ধরনের প্রশিক্ষণ বিগত ২৪ বছর হয়েছে এবং এখন হচ্ছে সকল প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষার্থী মনোনয়ন এবং প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কাজটি করে যাচ্ছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
৮। জরীপ ও তথ্য সংগ্রহঃ
জাতীয় শিক্ষা তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) যত ধরনের জরীপ বাঁ তথ্য সংগ্রহ করে থাকে তা মাঠ পর্যায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের মাধ্যমেই করে থাকে ।
৯। দৈনিক সমাবেশঃ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের তৎপতায় এখন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৈনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং সমাবেশে শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় । এই সমাবেশেই ইভটিচিং , জংগীবাদ , বাল্যবিবাহ , মাদকের কুফল এবং নৈতিক শিক্ষা সম্পর্কে প্রতিদিন আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে ।
১০। প্রতিষ্ঠান র্যাংকিং:
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠান সমূহের একাডেমিক মান নির্ণয় পূর্বক প্রতিবছর এগুলোর র্যাংকিং নির্ধারণের কাজ করে থাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
১১। শূণ্য পদের চাহিদা প্রদানঃ
শিক্ষক নিয়োগের জন্য এন টি আর সি এ শূণ্য পদের তালিকা সংগ্রহ করছে । মাঠ পর্যায়ে এই কাজটিও করে থাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
১২। EMIS ডাটা হাল নাগাদঃ
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের EMIS কম্পিউটার সেলের তথ্য হাল নগাদ করনের কাজ তদারকি করে থাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
১৩। শিক্ষক গাইড বিতরণ ও বাস্তবায়নঃ
জাতীয় শিক্ষক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কতৃক মূদ্রণকৃত শিক্ষক গাইড শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছানোর কাজটিও করে থাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
১৪। নারী শিক্ষার অগ্রগতিঃ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন মাধ্যমিক স্তরে নারী শিক্ষার হার ছিল ২৬%, বর্তমানের এই হার ৫৩%। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের একান্ত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বহুমুখী প্রভাব পড়েছে। যেমনঃ
# নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
# বাল্য বিবাহ হ্রাস পেয়েছে।
# শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।
# মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।
# স্বাস্থ সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
# নারীর কর্মক্ষেত্রের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
# নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।
# এই একটি মাত্র সূচকের কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।
১৫। সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমঃ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের প্রচেষ্টায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আই সি টি ক্লাব , বিজ্ঞান ক্লাব , সততা সংঘ , সাংস্কৃতিক ক্লাব , ক্রীড়া ক্লাব , ইউজার্স গ্রুপ ইত্যাদি গঠন সম্ভব হয়েছে । ফলে শিক্ষথীদের বহুমুখী প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।
১৬। অভিভাবক সমাবেশঃ
সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ উদ্বুদ্ধ করে এবং এই ধরণের সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ তারা উপস্থিত থাকে । অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে অভিভাবকদের সচেতন করার মাধ্যমে ঝড়ে পরা হ্রাস পাচ্ছে , শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
১৭। পাবলিক পরীক্ষার দায়িত্ব পালনঃ
পি এস সি , জে এস সি , জে ডি সি , এস এস সি , এইচ এস সি , ডিগ্রী , কারিগরি , উন্মুক্ত সকল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি হিসেবে থানার মালখানা থেকে গ্রহণ , কেন্দ্র সচিবের নিকট প্রেরণ এবং পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করে থাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
১৮। প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনঃ
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে শতভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে থাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
১৯। উপজেলা পরিষদ থেকে ফান্ড সংগ্রহঃ
অধিকাংশ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিজস্ব উদ্দোগে উপজেলা পরিষদ থেকে টাকা নিয়ে নিয়মিত ভাবে বিতর্ক প্রতিযোগিতা , বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড , গণিত অলিম্পিয়াড , স্কাউট সমাবেশ , বিজ্ঞান ও আই সি টি মেলা ইত্যাদি সৃজনশীল কাজের উদ্যোগ নিয়ে থাকে ।
২০। ইন হাউজ প্রশিক্ষণঃ
ইন হাউজ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সকল শিক্ষককে আই সি টি তে দক্ষ করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা প্রনান্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে ।
২১। অভিযোগ তদন্তঃ
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে কোন অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করে থাকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
২২। আভ্যন্তরিণ পরীক্ষার রুটিন তৈরীঃ
মহাপরিচালক , মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মহোদয় কতৃক প্রণিত অভিন্ন সময় সূচী অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ আভ্যন্তরিন পরীক্ষার রুটিন তৈরী করে প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে থাকেন ।
২৩। উপস্থিতি প্রতিবেদনে প্রতিস্বাক্ষরঃ
শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে মাসিক পে-অর্ডার উত্তোলনের পূর্বে প্রতিষ্ঠান প্রধান কতৃক শিক্ষক উপস্থিতি প্রতিবেদনে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ প্রতিস্বাক্ষর করে থাকেন ।
২৪। জাতীয় দিবস উদযাপনঃ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস , বিজয় দিবস , জাতীয় শোক দিবস , জাতীয় শিশু দিবস , বাংলা নব বর্ষ , ২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ,রবীন্দ্র জয়ন্তী , নজরুল জয়ন্তী , বিশ্ব শিক্ষক দিবস , বিশ্ব পরিবেশ দিবস , আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশোমন দিবস ইত্যাদি দিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিশ্চিত করে থাকেন ।
২৫। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নঃ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যত উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন ও তদারকির কাজ করে থাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ ।
২৬। মাসিক সম্বন্নয় সভাঃ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রতি তিন মাস অন্তর প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক মানোন্নয়ন বিষয়ে মূল্যায়ন সভা করেন এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করে থাকেন ।
২৭। একাডেমিক ও প্রশাসনিক পরিদর্শনঃ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ প্রতিমাসে কমপক্ষে ১৫ টি শিক্ষ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করে থাকেন ।
২৮। অন লাইন এম পি ওঃ
অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা অন লাইন এম পি ও এর কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু একটি মহল এই ভাল কাজ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে । সব পেশায় কিছু দুষ্ট লোক থাকে । তাদের মধ্যেও হয়তো আছে । তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।
২৯। নিয়োগ কমিটির সদস্যঃ
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়োগ কমিটিতে আসার আগে যত নিয়োগ হয়েছে সেই সব নিয়োগের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ চাইলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান প্রধান দিতে পারে না । যেদিন থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা এই কাজে সংম্পৃক্ত হয়েছে সেদিন থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাগজ পত্রে স্বচ্ছতা এসেছে ।